# ল্যাপটপ কেনার আগে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেনঃ
# ল্যাপটপ কেনার আগে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেনঃ
১। কোন প্রসেসর কিনবেনঃ প্রসেসর ল্যাপটপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং অন্যতম প্রধান হার্ডওয়্যার। মূলত একে CPU = Central Processing Unit (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট) বলে। আমরা যখন ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে বিভিন্ন কমান্ড দিয়ে থাকি, সেগুলোকে প্রসেসর প্রসেসিং করে আমাদের ডিসপ্লেতে শো করে।প্রসেসরের উপর নির্ভর করে ল্যাপটপের গতি ও প্রকৃতি। আপনার বাজেট অনুযায়ী প্রসেসর নির্ধারণ করুন।যেমন: অফিস প্রোগ্রামিং বা সাধারণ কাজের জন্য ডুয়েল কোর বা কোর আই থ্রি থেকে শুরু করতে পারেন। বর্তমান বাজারে সেলেরন থেকে শুরু করে কোর আই সেভেন পর্যন্ত প্রসেসর এর ল্যাপটপ আছে। প্রসেসর ব্রান্ডের ক্ষেত্রে আপনি ইনটেল অথবা এএমডি থেকে পছন্দ করে নিতে পারবেন।
২। হার্ডডিস্ক নাকি এসএসডিঃ হার্ডডিক্সের তুলনায় এসএসডি দ্রুতগতিসম্পন্ন এবং নিরাপদ তথ্যের সংরক্ষণ করে। এসএসডি সম্পন্ন ল্যাপটপে অপারেটিং সিস্টেম এবং অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশান মুহূর্তেই লোড হয় এবং দ্রুতগতির কর্মক্ষমতা প্রদান করে।
হার্ডডিক্স বা এসএসডি তে কতটুকু ডাটা রাখবেন তার ওপর নির্ভর করে স্টোরেজ সিলেক্ট করুন। বর্তমানে ৫০০ জিবি থেকে শুরু করে ২ টেরাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজের ল্যাপটপ পাওয়া যায়। এটি আপগ্রেডবল এবং পোর্টেবল ষ্টোরেজ ও ব্যবহার করতে পারবেন।
৩। ডিসপ্লে সাইজঃ ল্যাপটপের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত এবং আদর্শ হল ১৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে। আপনার পছন্দ এবং কাজের উপর নির্ভর করে ১৫ ইঞ্চি ডিসপ্লের ল্যাপটপ নিতে পারেন। ভালো রেজুলেশনের জন্য ফুল এইচডি (Full HD) দেখে কিনুন। আর ল্যাপটপ ডিসপ্লে আপগ্রেডেবল নয় বিধায় শুরুতেই চিন্তা করে সঠিক রেজুলেশনের ল্যাপটপ কেনা উচিত।
৪। র্যামঃ মেমোরি বা র্যাম আপনি ৪ জিবি থেকে শুরু করতে পারেন তবে কাজের উপর নির্ভর করে এটি বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
৫। গ্রাফিক্স কার্ডঃ সাধারণ কাজের জন্য শেয়ার্ড গ্রাফিক্স ই যথেষ্ট। কিন্তু গেম,ভিডিও এডিটিং অথবা গ্রাফিক্সের যে কোন কাজের জন্য অবশ্যই ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড সিলেক্ট করুন। ল্যাপটপের গ্রাফিক্স সাধারণত পরিবর্তন বা আপগ্রেড করা যায় না তাই কেনার আগেই সিদ্ধান্ত নিন।
৬। ব্র্যান্ড ভ্যালুঃ ভালো ব্রান্ডের ল্যাপটপ সিলেক্ট করুন
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের পপুলার ব্র্যান্ড গুলোর মধ্যে আছে: লেনোভো,আসুস,এইচপি, ডেল,এসার ইত্যাদি।
৭। ওয়ারেন্টিঃ ওয়ারেন্টির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ল্যাপটপ কিনুন। ওয়ারেন্টির ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো খেয়াল করবেন:
*ওয়ারেন্টির সময়সীমা
*ওয়ারেন্টি শর্ত গুলো কি
*ইন্টারন্যাশনাল ওয়ারেন্টি আছে কিনা
*ব্যাটারি এবং চার্জারে ওয়ারেন্টি আছে কিনা
৮। অথোরাইজড প্রোডাক্ট কিনুনঃ ল্যাপটপ যেহেতু একটি ভ্যালুয়েবল ওয়ারেন্টি যুক্ত প্রোডাক্ট তাই কেনার আগে অবশ্যই অথোরাইজড প্রোডাক্ট কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন। কারণ আনঅথরাইজড প্রোডাক্টে ওয়ারেন্টি এবং পার্টস সমস্যা হতে পারে।
অন্যান্য বিষয়ঃ এছাড়াও আপনি ওয়াইফাই স্পিড, আপনার প্রয়োজনীয় পোর্ট সমূহ ল্যাপটপে আছে কিনা ভাল করে দেখে নিন। এছাড়া প্রতিটি ব্রান্ডেরই কিছু ইউনিক ফিচার থাকে সেগুলো আগে থেকে অবগত হওয়ার চেষ্টা করুন।কারণ ল্যাপটপের চেঞ্জ/আপগ্রেড করার অপশন কম।
ভালো করে যাচাই বাচাই করে তারপরই সিদ্ধান্ত নিন।
মোঃ মাকছুদুর রহমান।
Green Valley Systems